ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, থানায় মামলা

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের গিলাগাছা গ্রামে। ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুস সালাম (৫০) কে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্কুল ছাত্রীর বাবা উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের চার সন্তানের জনক আব্দুস সালাম (৫০) এর জমির বর্গাচাষী হিসেবে কাজ করতেন। কিছু দিন আগে ছাত্রীর বাবা মারা যায়। এ সুযোগে সালাম প্রায়ই ছাত্রীটির বাড়িতে যাতায়াত করত। সেই সুবাদে ছাত্রীটিকে উত্যক্ত ও নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিত। সুযোগ বুঝে আব্দুস সালাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ঘটনাটি আব্দুস সালাম কাউকে না জানানোর জন্য ওই ভিকটিমকে হুমকি দেয়। এতে ভয় পেয়ে ছাত্রীটি ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানায়নি। এরপর শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দিলে ছাত্রীটি তার মা’কে আব্দুস সালাম কতৃক ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।

পরে ভূক্তভোগীরা আব্দুস ছালামের বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আব্দুস ছালাম ও তার সহযোগীরা তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বলে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গ্রাম্য মাতব্বররা আপোস মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এনিয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আব্দুস সালামকে প্রধান আসামী করে শুক্রবার শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আব্দুস সালাম সহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বার্তা বাজার / ডব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর