সিরাজগঞ্জে সরিষা ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন, মাঠে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। অপরদিকে দিগন্তজোড়া মাঠ হলুদ সরিষা ফুলের অপরুপ সাজে সেজেছে। সরিষা ফুলের গন্ধ সিরাজগঞ্জের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন, চলছে মধু আহরনের পালা। শীতের সকালে সরিষা ফুলের পাঁপড়িতে রোদের ঝিলিক। সকালে মিষ্টি মধুর রোদে বসে পিঠা খাওয়া এ এলাকার মানুষের শতাধিক বছরের ঔতিহ্য। তবে জেলার তাড়াশ ও রায়গঞ্জে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন আর পানি প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টির ফলে এবছরে সরিষা চাষ অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাই কৃষকের মনে শান্তি নেই, নেই আর্থিক স্বচ্ছলাবস্থা। তাদের ঘরে অভাব আছে। তবুও প্রকৃতির অপরুপ সৌন্ধর্যের মধ্যে তাদের মুখে হাসির ঝিলিক ভুলিয়ে দিচ্ছে কৃষকের শত অভাব অনটন আর দু:খ কষ্ট।

ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মৌ চাষিরা মাঠে নামিয়েছে মধু আহরনের ডালা, শুরু করেছে মধু সংগ্রহ। এ জেলার চলনবিলের সরিষা ফুলের রয়েছে আলাদা সুখ্যাতি। বাজারজাত হচ্ছে সরিষা ফুলের সু-স্বাধু মধু। এ মধু চাহিদা অনুযায়ী যাচ্ছে দেশের গন্ডি পেরিয়েও। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তাড়াশের চলনবিল, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, উল্লাপাড়া ও শাহজাহাদপুরে পাবনা জেলার মৌচাষীরা মধু আহরণ করছে। শরিষা ফুলের মধু আহরণ করে অনেকেই সফলতা দেখছে। মাঠে মাঠে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। সরিষা ক্ষেত এখন হাসছে ফুলের সৌরভে। অন্য বছরের তুলনায় চাষ কম হলেও বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষীরা।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুর হক জানান, জেলায় ৫০ হাজার ৮’শ ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তবে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠি হয়ে বর্ষার পানি নামতে বিলম্ব হওয়ায় এবছর চলনবিল এলাকায় অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় সরিষা আবাদ অনেক কম হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ২’শ মেট্টিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বার্তা বাজার / ডব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর