ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যপদে উপ-নির্বাচনে এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে নির্বাচনী ওই ক্যাম্পটিতে হামলা চালানো হয়। তবে অভিযুক্ত প্রার্থী বলছে তাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
উপজেলা সোহাগী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মারফত আলী গত ২১ আগস্ট মৃত্যু বরণ করেন। মারফত আলী স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। মারফত আলীর মৃত্যুর পর তার ওয়ার্ডটি শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসলি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ওয়ার্ডটিতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাহনে মারফত আলীর ছেলে মো. ওয়ালিউল্লাহ (কাজল মিয়া) মোরগ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. চাঁন মিয়া লড়ছেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে। শুক্রবার রাতে ফুটবলের পক্ষে মিছিল নিয়ে ভালুকবেড় আপানিয়া (নতুন বাজার) শবিকুল ইসলামের মুদি দোকানের পেছনে মো. ওয়ালিউল্লাহর নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রচার ক্যাম্পটির পোস্টার ছিড়ে তছনছ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শনিবার দিনভর এলাকায় উত্তেজনা চলে।
মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তার বাবার অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রতিবদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে ভাংচুর চালানো হয়।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. চাঁন মিয়া বলেন, তার সমর্থকরা কোনো ধরণের হামলা বা ভাংচুর করেনি। তার ওপর বিরুদ্ধে মিথ্য অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ প্রার্থী।
বার্তা বাজার / ডব্লিও.এস