মধ্যরাতে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিন শেষে মধ্যরাতে শুরু হয়েছে সে বৃষ্টি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় এ বৃষ্টি হয়।

সদ্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আর বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে বইছে এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতার মধ্যেই মধ্যরাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলো।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দিন দিন তাপমাত্রার অবনতি হতে থাকবে। শুক্রবার দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী দু্দিনের প্রথম দিকে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরবর্তী পাঁচ দিনে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

বরিশাল থেকে বলা হয়, বরিশালের আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা ছিল। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে মুহূর্তের মধ্যে নগরীর চিত্র পাল্টে যায়। রিকশাসহ অন্য যানবাহন চলাচল কমে যায়। বৃষ্টিতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন। শীতের সময় সাধারণত বৃষ্টি হয় না দেখে রিকশাচালকরা পলিথিন নিয়ে বের হননি। বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন তারা।

অন্যদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তীব্র শীতের প্রস্তুতি ছাড়াই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তারা পড়েন বিপদে। বৃষ্টিতে ভেজার কষ্ট তো পেতে হয়েছে, সেই সঙ্গে শীতে কষ্টে পড়তে হয়েছিল অনেককে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শীত দিনের চেয়ে রাতে বেশি অনুভূত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান জানান,আজ শুক্রবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।

পটুয়াখালী থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টা থেকে পটুয়াখালীতে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে পটুয়াখালীতে বৃষ্টি শুরু হয়। ১২টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঠাণ্ডাও কিছুটা বাড়ছে। এই বৃষ্টি শুক্রবার পর্যন্ত হতে পারে।

পটুয়াখালীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম জানান, শীতের মধ্যে বৃষ্টি, অসময়ে বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বলা হয়, চারদিকে বইছে প্রচণ্ড শীত। এমন শীতের রাতে যখন সবাই ইট-পাথরের তৈরি বাড়ির নরম বিছানায় লেপ-কম্বলের নিচে মজার ঘুম ঘুমাচ্ছে, ঠিক তখনই মাঝরাতে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

রাত ১১টার দিক থেকে হালকা বাতাস শুরু হয়। তার পরপরই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। খবর পাওয়া গেছে ঝিনাইদহ জেলাজুড়েই শুরু হয়েছে বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর