দ্বিতীয়বারের মতো উপ-প্রচার সম্পাদক হলেন আমিনুল ইসলাম আমিন

আমিনুল ইসলাম আমিনের নাম উচ্চারণের সাথে সাথে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের তৃণমূল নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

২য় বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার অনুভুতি জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, টানা ২য় বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পণ করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমার উপরে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সারাদেশের আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেভাবে আমার পাশে দাড়িয়েছে এটা আমার রাজনৈতিক জীবনের জন্য একটি বিশাল প্রেরণা আমি সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ এই অবদান আমি কখনো ভুলবনা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল শেষে একজন নেতাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের তৃনমূল নেতাকর্মীদের এত আবেগ, উৎকন্ঠা ও আনন্দ আর কখনো চোখে পড়েনি।

একসময় সাম্প্রদায়িক ও প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসীদের আস্তানা হিসাবেই পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার তৃণমূল থেকে পথচলা শুরু করে সদ্য বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম আমিন।

বর্তমান সময়ে প্রায় সব টিভি চ্যানেলে টক শোতে যার পরিচিতি একজন পরিচ্ছন্ন ও যুক্তিবাদী বিশ্লেষক হিসেবে।রাজনৈতিক সমাবেশেও তার বক্তব্য একটু ভিন্ন ধারার।বর্তমান সময়ে ধর্ম,রাজনীতি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখার নেতা খুবই কম।

আমিনুল ইসলাম আমিনের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অনেক বর্ণাঢ্য স্মৃতি। তিনি একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। সেই ছাত্র জীবন থেকে জেল-জুলুম, মামলা, হামলা ও বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন নিয়মিত।

অনেক রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষার ফল হিসেবে তিনি স্থান পেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। প্রাইমারী স্কুল শেষ করে মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স করেন পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে।

তিনি ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার পর তিনি কার্যকরী সদস্যের দায়িত্ব পান।নির্বাহী সদস্যপদে যথাযথ দায়িত্ব পালনের পর সদ্য বিলুপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে স্বপদে বহাল রয়েছে।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর