চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ বশেমুরবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্র

চিকিৎসা কেন্দ্র থাকলেও নেই কোনো চিকিৎসক৷ চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য নেই কোনো আলাদা ভবন৷ এমনই বেহাল দশা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের৷ প্রায় একমাস যাবত চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসা সেবা বন্ধ আছে চিকিৎসা কেন্দ্রটির৷

জানা যায়, সম্প্রতি চিকিৎসা কেন্দ্রের দুজন চিকিৎসকই ইস্তফাপত্র জমা দেয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতির৷

সাবেক একজন মেডিকেল অফিসারের তথ্যানুসারে চিকিৎসা কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় ২০০ জন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করলেও বর্তমানে চিকিৎসক না থাকায় এই চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী জানান, ‘সম্প্রতি আমি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল সেন্টারে যাই কিন্তু ডাক্তার না থাকায় পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে বাধ্য হই’।

এদিকে শুধুমাত্র চিকিৎসক সংকটই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টারটি স্থানসংকট, যন্ত্রপাতি সংকট, লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দীর্ঘদিন যাবত। মেডিকেল সেন্টারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক কোনো ভবন না থাকায় প্রশাসনিক ভবনেরই নিচতলায় দুটি ছোট কক্ষে চিকিৎসা কেন্দ্রটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১২,০০০ শিক্ষার্থী, ৩০০ শিক্ষক এবং ৬০০ এর অধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর জন্য ২ বেডের চিকিৎসা কেন্দ্রে একজন ব্রাদার এবং একজন নার্সের সাথে চিকিৎসক ছিল মাত্র দুজন।

এছাড়া চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে চিকিৎসক থাককালীন সময়েও তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতেন না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, যে কোনো অসুস্থতার কথা বললেই প্যারাসিটামল দেয়া হতে এবং গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল সেন্টারের একজন কর্মচারী বলেন, ‘মূলত জনবল সংকট এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই মেডিকেল সেন্টারটির এই অবস্থা’।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান জানান, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের দুজন ডাক্তারই গত নভেম্বরে অব্যাহতিপত্র জমা দেয়ায় মেডিকেল সেন্টারটি চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে আমার পক্ষে নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয়। তবে আমি চেষ্টা করছি একজন ডাক্তারের সাথে স্বল্প সময়ের জন্য চুক্তি করতে যাতে তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন’।

এছাড়াও, আবাসিক হলগুলোতে নেই কোনো দায়িত্বরত চিকিৎসক ৷ যার ফলে আবাসিক হলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না ৷ চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের কাছে শরণাপন্ন হতে হয় ৷ যা কিনা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ৷ বিশেষ করে মেয়েরা বেশী ভোগান্তির শিকার হয় ৷

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর