পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছে সিরাজদিখানের কৃষকরা

সিরাজদিখানে পেঁয়াজ চারা চাষীদের মুখে হাঁসি ফুটেছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজদিখানের কৃষকরা ঝুঁকছে পেঁয়াজ চাষে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের চারা বিক্রি করে কৃষকরা ন্যাজ্য মূল্য পাওয়ায় গত বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছে কৃষককূল।

উপজেলার বিভিন্নহাট বাজারে পেঁয়াজের চারা বীজ বিক্রি করতে দেখা গেছে কৃষকদের। প্রায় চার বছরের লোকসানের পর লাভের মুখ দেখলো কৃষকরা। ৩৫ শতাংশ জমির চারা বিক্রিতে প্রায় আশি হাজার টাকা লাভ হয়েছে কৃষকদের। পৌষ মাস থেকে জমিতে চারা রোপন করে চার মাস পর ফলন তুলতে পারেন কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সিরাজদিখান, তালতলা, শিকারপুর, মরিচা, শেখরনগর, ইমামগঞ্জ, বালুচর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পিয়াজ, মরিচ, বেগুনসহ অন্যান্য চারা বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কিছু কৃষকরা অন্য কৃষকদের জমি থেকে চারা ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করতেও দেখা যায় এবং চাষীরা তাদের নিজ জমির চারা বাজারের এনে বিক্রি করছেন।

প্রতি কেজী পেঁয়াজের চারা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে। কিছু দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের চারা ১৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। তবে গত বছর এ চারা বিক্রি হয়েছিল কেজী প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এবছর চারা বিক্রি করে কৃষকদের দ্বিগুন লাভ হচ্ছে। আরো জানা যায়, ৩৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের চারা লাগে ১৫০ কেজী। ৩৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চারা উৎপাদনে সার, পানি, শ্রমিকসহ প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও বর্তমানে সেগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামের পেঁয়াজ চাষী জমতুল্লাহ কাজী বলেন, এ বছর আমি ৭০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ১৮০ টাকা থেকে বিক্রি শুরু করে বর্তমানে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি প্রতি কেজী পেঁয়াজের চারা। গতবছর এ চারা বিক্রি করেছিলাম ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। এবার চারার ন্যাজ্য দাম পেয়ে আমরা চাষীরা খুবই খুশি।

একই গ্রামের মোফাজ্জল বলেন, আমি ১৮ শতাংশ জমিতে চারার চাষ করেছি। এখানে প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি জমির চারাগুলো ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। লাভের মুখ দেখে আমরা খুবই খুশি এবং অন্য চাষীদের কাছ থেকে চারা কিনে এনে সিরাজদিখান বাজারে প্রতি বুধবার হাটের দিন বিক্রি করে থাকি।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি অফিসার সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর কৃষকরা পেঁয়াজ চারার ভাল দাম পাচ্ছে। কৃষকরা পেঁয়াজ চারা রোপন করছেন। আমাদের এ এলাকায় তাহেরপুরী পেঁয়াজের চারাই বেশী বিক্রি হচ্ছে। তবে আমি আশা করি গত বছরের তুলনায় এ বছর পেয়াজের আবাদ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর