চট্টগ্রামসহ ৫ দেশের বন্দরকে গ্রিন পোর্ট করার পরিকল্পনা

বায়ুদূষণের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ বন্ধে চট্টগ্রামসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি দেশের বন্দরগুলোকে গ্রিন পোর্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির। বিশেষ করে বন্দরগুলোতে সোলার এনার্জি ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় তারা। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে বসানো হবে ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের সোলার প্যানেল।

ব্যাপক হারে জ্বালানি তেল ব্যবহারের ফলে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বন্দরগুলোকে অন্যতম বলে চিহ্নিত করে আসছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। বন্দরে অবস্থানরত জাহাজগুলো সার্বক্ষণিক জেনারেটর চালু রাখার পাশাপাশি পণ্য ওঠানামায় যন্ত্রগুলো জ্বালানি তেল ব্যবহার করছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে ৪ হাজারের বেশি জাহাজ আসছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এ ২১৪টি যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বাপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান বলেন, তেল যখন পোড়ে তখন সেখান থেকে প্রচুর ধোঁয়া বের হয়। আর এর মাধ্যমে প্রচুর কার্বণ নিঃস্বরণ করে।

জাতিসংঘের সহযোগিতায় পরিচালিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৫০ লাখ টন কার্বন নির্গমন হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন হয় বন্দরে পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ৩০ হাজারের বেশি ট্রাক, কাভার্ড এবং কন্টেইনারবাহী লরি থেকে। যার পরিমাণ ৩০ লাখ টন। এরপর রয়েছে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ এবং যন্ত্রপাতি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, অনেক লম্বা যানবান ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে এ কার্বন নিঃস্বরণের পরিমাণ কমে আসবে।

পরিবেশবান্ধব করতে বন্দরে স্থাপন করা হবে ১৫ মেগাওয়াটের একটি সোলার এনার্জি প্যানেল।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, দিনের বেলাতে কিন্তু পোর্ট সোলার দিয়ে চলতে পারে। এবং অনেকগুলো জাহাজের যখন কাজ থাকে না তখনও ইঞ্জিন চালু থাকে। কিন্তু পোর্ট থেকে সোলার পাওয়ার দেওয়া হলে তেলও পুড়বে না আবার পরিবেশও দূষণ হবে না।

দূষণ প্রতিরোধে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, মালদ্বীপ এবং শ্রীলংকার বন্দরগুলোকে গ্রিন পোর্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর