স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হওয়া বন্ধুর মাথার খুলি সযত্নে রেখে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের আলী আহমেদ চান্দু মিয়া।
প্রতি বছর, ডিসেম্বর মাস আসলেই বন্ধুকে হত্যার বিভীষিকাময় সেই স্মৃতি মনে করে আঁতকে ওঠেন তিনি। পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার এই চিহ্ন দেখতে অনেকেই আসেন চান্দু মিয়ার কাছে।
মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী কটিয়াদীর হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালায়। ধরে নিয়ে যায় চান্দু মিয়ার বন্ধু রঞ্জিত দাস ও তার বাবাসহ ৭ জনকে। এরপর, গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে রেখে যায়।
সেদিন কচুরিপানায় মাথা লুকিয়ে চান্দু মিয়া প্রাণে বাঁচলেও, দেখেন বন্ধু হত্যার নৃশংস সেই দৃশ্য। পরে, হানাদারবাহিনী চলে যাওয়ার পর তিনটি মাথার খুলি এনে পুঁতে রাখেন চান্দু মিয়া। দেশ স্বাধীনের পর মাথার খুলি গর্ত থেকে তুলে সযত্নে সংরক্ষণ করেন তিনি।
প্রতি বছর, বিশেষ দিনগুলোতে মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদারদের বর্বরতার চিহ্ন দেখতে অনেকেই আসেন চান্দু মিয়ার কাছে।
নতুন প্রজন্মের কাছে পাকবাহিনীর নৃশংসতা তুলে ধরতে মিনি জাদুঘর নির্মাণের স্বপ্ন চান্দু মিয়ার।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি