ভোটারের চেয়ে র‍্যাব-পুলিশ-সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি

দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সিলেট সদর উপজেলার বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে ভোটার না থাকলেও কয়েকটি কেন্দ্রে র‍্যাব ও পুলিশ কড়া নিরপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে সংবাদ সংগ্রহ করতে কিছু সাংবাদিককেও দেখা গেছে।

সিলেট সদর উপজেলার অন্তত ১২টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অন্য যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে কম। বিচ্ছিন্নভাবে দু’একজন এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো ভোট পড়েনি।

সিলেট সদর উপজেলার ইসলামপুরের আল আমিন জামেয়া কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা কয়েক হাজার হলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো ভোটারই আসেননি। তবে এ কেন্দ্রে র‍্যাব ও পুলিশের কড়া নিরপত্তা চোখে পড়ার মতো।

এছাড়া ৫ নম্বর টূলটিকর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র হলো মীরাপাড়া আব্দুল লতীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনটি এলাকায় প্রায় তিন হাজারের বেশি ভোটার থাকলেও এ কেন্দ্রে ভোট শুরুর আধা ঘণ্টা পরও কোনো ভোট পড়েনি।

ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার পৃথিশ সরকার জানান, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো ভোটার আসেনি। কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টরা নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত আছেন।

এছাড়া সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাড়াও বাকি ১২ উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে একই অবস্থা বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। তবে বিএনপি বিহীন এ নির্বাচনে শেষপর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি কতটা বাড়বে তা এখন দেখার বিষয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর