এইচএসসিতে ফেল করা তাহিরা মার্কশিটে তুলে অবাক

বরগুনা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী তাহিরা খানম বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ১৭ জুলাই বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি’র ফলাফল প্রকাশিত হয়।

ওইদিন দুপুরে সরকারি মুঠোফোন অপারেটর কোম্পানি টেলিটকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে তাহিরা জানতে পারেন তিনি জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতসহ ৩টি বিষয়ে ফেল করেছেন।

প্রায় ৪ মাস পর এইচএসসি’র মার্কশিট উত্তোলন করে তাহিরা দেখতে পান তিনি কোনো বিষয়েই ফেল করেননি। তিনি জিপিএ-৩.৮৩ (এ-) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে গত ১৭ ডিসেম্বর বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পুনরায় ফরম পূরণ করেন তাহিরা। এসময় কৌতুহলী হয়ে মার্কশিট উত্তোলন করে দেখতে পান জিপিএ-৩.৮৩ (এ-) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত হতে গত ২২ ডিসেম্বর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে তাহিরার ভাই ইমন তার বোনের ফল ফের পর্যালোচনা বা খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।

চেয়ারম্যান তার রোল নম্বর নিয়ে তার নিজের মুঠোফোনে সার্চ দিয়ে তাহিরা ফেল করেছেন বলে জানান। এ সময় তাহিরার ভাই ইমন বোর্ডের মার্কশিটে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রমাণ দেখালে চেয়ারম্যান বোর্ডের সিস্টেম এ্যানালিস্টকে ডেকে পাঠান।

তিনি নিজেদের কিছু ভুলত্রুটির কথা জানান চেয়ারম্যানকে। এ সময় চেয়ারম্যান পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভুল সংশোধন করে দেয়া হয়েছে বলে ইমনকে জানান। ওই সময়েও টেলিটকের ক্ষুদে বার্তায় তাহিরাকে ফেল দেখানোয় এ ভুলের দায় টেলিটকের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন বোর্ড চেয়ারম্যান। শেষ পর্যন্ত বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোনো সদুত্তর না পেয়ে অফিস ত্যাগ করেন ইমন।

ভুক্তভোগী তাহিরা খানম পাথরঘাটা পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন খান ও সেলিনা খানম দম্পতির কন্যা সন্তান ও বরগুনা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর