লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে কমিটির অন্য সদস্যদের অনাস্থা

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের কমিটি বানিজ্য, অর্থের বিনিময়ে অধিক যুগ্ম আহবায়ক সংযুক্ত করে আহবায়ক কমিটি দেয়া, তালিকভুক্ত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীকে জেলা কমিটিতে যুক্তসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশানের উপর অনাস্থা দিয়েছে কমিটির অন্য সদস্যরা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী ও অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন দেয় তারা। এগারো
সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির নয় জনই অভিযোগপত্রে সাক্ষর দিয়ে এ অনাস্থা দেয়।

এরা হলেন, জেলা কমিটির সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, সহ সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ শরিফ, সহ সভাপতি রেজাউল করিম পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন আল রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন ইফতি, সাংগঠনিক সম্পাদক করিমুল হক কনক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজু রহমান রুবেল। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জেলা সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়ালউল করিম নিশানের অনৈতিক ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারনে জেলা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি আজ বিতর্কিত ও বিলুপ্তির পথে। ২০১৮ সনের ২৩ এপ্রিল জেলা কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর থেকে উপজেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গুলোর সম্মেলন হয়নি। বরং তাদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বড় অংকের আর্থিক লেনদেন ও উপরের মহলের তদবির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিলাত ফেরত, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিও প্রশাসনের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ীকে জেলা কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয় চন্দ্রগঞ্জ ছাত্রলীগ আহবায়ক কাজী বাবলু সন্ত্রাসী কার্যকালাপের অপরাধে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করে। জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের অনুমোদিত দুটি কমিটি ছাড়া সকল কমিটি অর্থের বিনিময়ে অধিক সংখ্যক যুগ্ম আহবায়ক করে কমিটি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা। ওইসব কমিটি হলো, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রলীগ, লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ, রায়পুর পৌর ছাত্রলীগ, রায়পুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগ, রামগতি পৌর ছাত্রলীগ, রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগ এবং আ স ম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ। অভিযোগে আরো বলা হয় জেলা কমিটি হওয়ার পর জাতীয় দিবস কিংবা সাংগঠনিক কোন ধরণের সভা সমাবেশে তাদের আমন্ত্র দেয়া হয়নি। তবে দায়বদ্ধতা সথেকে এসব সভা সমাবেশে উপস্থিত হলে বরং লাঞ্চনার শিকার হয় বলেও উল্লেখ্য করে অভিযোগপত্রে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর