পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ

যশোরের শার্শা উপজেলার পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।(বুধবার১০ইএপ্রিল)সকাল দশটা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে বিদ্যালয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই সকল শিক্ষার্থীরা।চিকিৎসকরা বলছেন, কৃমিনাশকের প্রভাবে তারা অসুস্থ হয়নি,ম্যাস হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

অসুস্থদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে,শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না ইয়াসমিন মিম (১৪),হালিমা(১৪),রাসেল(১৪), তাবাসসুম হাবিব ঋতু(১৪),রিমা (১৪),ষষ্ঠ শ্রেণির আলিফা ইয়াসমিন(১২),জান্নাতুল(১৩), শাহরিয়া ইয়াসমিন নিশি(১২), সপ্তম শ্রেণির মুন্নি(১৪)এবং দশম শ্রেণির স্মৃতি(১৫)।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শামসুন্নাহার,সালেহা বেগম,আব্দুল মজিদ,হাবিবুর রহমান,সাদিকুল ইসলাম জানান,তিনদিন আগে পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক খাওয়ানো হয়।ওষুধ খাওয়ার পর বাচ্চারা অসুস্থ বোধ করতে থাকে।আজ সকাল থেকে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

স্কুলের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক মমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কৃমির ওষুধ সেবনের কারণে এঘটনা ঘটেনি।কী কারণে ঘটেছে, তা আমার জানা নেই।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি রোগ-ম্যাস হিস্টিরিয়া। মূলত ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়েছে আতঙ্কে।কৃমিনাশক ওষুধ সেবনে এঘটনা ঘটার কোনো কারণ নেই। অসুস্থরা সবাই শঙ্কামুক্ত আশা করা যায়।’

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অশোক কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন,শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।তাদের সবার অবস্থাই ভালো।তিনি আরো বলেন,‘শুনেছি কৃমিনাশক খাওয়ানো হয়েছে গত ৬ এপ্রিল সকালে।ওই ওষুধে যদি প্রক্রিয়া হয়,তা ১২ ঘণ্টার মধ্যে হবে।সেহেতু এটা আতঙ্কের কারণে হতে পারে।’এক প্রশ্নের জবাবে ডাঃ অশোক সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা সবাই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে বাড়ি থেকে বের হয়।

অনেকে পান্তাভাত খেয়ে বাড়ি থেকে আসে।পান্তাভাতে পেটে অ্যালকোহল সৃষ্টি হয়।মাথা ঝিমঝিম করে।এক-দুইজন মাথা ঘুরে পড়েছে।বাকি সবাই আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।কোনো ছেলে-মেয়ের অসুবিধা হবে না।’

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন,‘খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নলেজে আছে বিষয়টি। আমি নিজে হাসপাতালে যোগাযোগ রাখছি।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর