শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কুমিল্লার হার

১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসে এবং ইয়াসির আলী। ইয়াসির আলী কিছুটা ধীরগতি হলেও বিদ্ধ্বংসি ব্যাটিং চালান রাজাপাকসে। প্রথম ২.৪ ওভারে কুমিল্লা নেন ৩২ রান।

ভালো খেলতে খেলতে হটাৎ তালগোল পাকিয়ে পেলেন রাজাপাকসে। দলীয় ৩২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১২ বলে ২৯ রান নিয়ে মাশরাফির বলে বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন রাজাপাকসে। রাজাপাকসের পর একই পথ অনুসরণ করেন রাব্বি। ৩ রান নিয়ে মেহ্দীর বলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন রাব্বি।

দারুন শুরুর পর ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কুমিল্লা। শুরুর চাপ সামলে দলকে আলোর পথ দেখান সৌম্য সরকার এবং ডেভিড মালান। বিশাল লক্ষ্যের পথে ভালোই খেলে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। ঢাকার বোলারদের ভালোই শাষন করে যান সৌম্য সরকার। ভালো খেলতে খেলতে হটাৎ তালগোল পাকিয়ে পেলেন সৌম্য। ওয়াহাব-রিয়াজের বল বাউন্ডারি মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে এনামুলের হাতে তালুবন্ধী হন সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৫ রান করেন সৌম্য।

সৌম্যর পর মাঠে আসেন ব্যাডবয় খ্যাত সাব্বির রহমান। প্রতিদিনের মতো আজকেও ব্যার্থ সাব্বির। ৪ রান নিয়ে থিসারা পেরেরার বলে উইকেটের পিছনে এনামুলের হাতে তালুবন্দি হন সাব্বির। সাব্বিরের মতো একই পথে হাঁটেন গত ম্যাচের নায়ক দানুস সানাকা। পেরেরার বলে ০ রান নিয়ে আউট হন সানাকা।

সানাকার বিদায়ের পর কুমিল্লার ইনিংসের হাল ধরেন ডেভিড মালান এবং মাহিদুল। ভালোই খেলে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। এই দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। শেষ পর্যন্ত ওহাব রিয়াজের বলে কাটা পড়েন মালান। ব্যাক্তিগত ৪০ রান নিয়ে আউট হন ডেভিড মালান। শেষ ১০ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২৮ রান।

মালানের পর কিছুটা বিধ্বংসী হয়ে উঠেন মাহিদুল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরেরার বলে বিদায় নিতে হয় মাহিদুলকে। আউট হওয়ার আগে মাহিদুল করেন ২৭ বলে ৩৭ রান। মাহিদুলের বিদায়ে কুমিল্লার হার সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। যার ফলে ঢাকা জয়লাভ করে ২০ রানের ব্যবধানে। ঢাকার পক্ষ্যে থিসারা পেরেরা নেন একাই ৫ উইকেট, ওয়াহাব রিয়াজ নেন ২টি উইকেট, মাশরাফি-মেহেদী নেন সমান ১টি উইকেট করে।

এর আগে তামিম ইকবালের ব্যাটিং তাণ্ডবে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ঢাকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন তামিম। তার ইনিংসটি ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও ঢাকা প্লাটুন।

এদিন টস জিতে ঢাকা প্লাটুনকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলতে নামা আফগান অফ স্পিনার মুজিব-উর-রহমানের করা ইনিংসের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন এনামুল হক বিজয়।

ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মেহেদি হাসান। দলীয় ২৬ রানে ফেরেন ১২ রান করা মেহেদি। এরপর লরি ইভান্সকে সঙ্গে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তামিম। ২৪ বলে ২৩ রান করে ফেরেন ইভান্স।

৪০ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। অর্ধশতক হাঁকানোর পর ১৩ বলের মধ্যে ৩টি চার ও এক ছক্কায় যোগ করেন ২৪ রান। ৫৩ বলে ৭৪ রান করেন তামিম আউট হওয়ার পর মাত্র ৪ রান করেই ফেরেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। আগের ম্যাচে শূন্য রানের সেঞ্চুরি করা আফ্রিদি এদিনও ব্যর্থ।

এরপর গোল্ডেন ডাক পান ওয়াহাব রিয়াজ। ইনিংসের শেষ দিকে মাত্র ১৭ বল খেলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় অরপরাজিত ৪২ রান করে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন শ্রীলংকার তারকা অলরাউন্ডার থিসেরা পেরেরা।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর