কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ১৪কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের আরপিএ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতির এই অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেই সাথে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় কেন বিধি মোতাবেক দণ্ড প্রদান করা হবে না এ বিষয়ে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের ভেতরে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে। যার স্মারক নং ৪৫.০০.০০০০.১২২.২৭.১০৫.১৯.৬২৯, তারিখ ৩০/১০/২০১৯ইং।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে হাসপাতাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) অপারেশন প্লানে আরপিএ (জিওবি) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অনুকুলে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড়কৃত ১৪কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা দ্বারা ক্রয়কৃত এমএসআর সামগ্রী ও ভারি যন্ত্রপাতিসমুহের অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন, যা তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। যেহেতু আপনার উল্লেখিত কার্যকলাপ সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। দূর্নীতি হিসাবে গণ্য।
একই সাথে আপনি ব্যাক্তিগত শুনানি চান কিনা তাও জানাতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার জানান, আমি নোটিশ পেয়েছি। আমি আমার মতো করে নোটিশের জবাব দিয়েছি। বাকিটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোছা নুরুন নাহার বেগম বলেন,শুধু আবাসিক মেডিকেল অফিসার নয়। ক্রয় কমিটির সাথে জড়িত ঠিকাদারসহ আরো চারজনকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে তদন্ত করে গেছেন। আশাকরি সমস্যা হবার কথা নয়।
উল্লেখ্য ডাঃ তাপস কুমার সরকার গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক দফায় প্রমোশন হলেও তিনি তা গ্রহন না করে আরএমও এর চেয়ারে বসে আছেন বলে অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বার্তা বাজার/ডব্লিও.এস