বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই দুই ‌‘ওয়াইড-নো’ নিয়ে বিতর্কের ঝড়

বিপিএল শুরু হতে না হতেই বিতর্ক। উদ্বোধনী ম্যাচেই সিলেট থান্ডার্সের ক্যারিবীয় পেসার ক্রিসমার স্যান্টোকি যা দেখালেন, তাতে সমালোচনা হওয়াটাও স্বাভাবিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে বিতর্কের ঝড়।

বিতর্ক হবেই না বা কেন! সান্টোকির দুটি ডেলিভারি যে রীতিমত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ পেসার আজ (বুধবার) একই ওভারে দৃষ্টিকটু দুটি ‘ওয়াইড’ ও ‘নো’ বল করেছেন।

মিরপুরে সিলেট থান্ডার্সের ছুড়ে দেয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন সান্টোকি। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিটিই বড়সড় এক ‌‘ওয়াইড’ দেন তিনি। এরপর পঞ্চম বলে দেন বিশাল এক ‘নো’।

সান্টোকি তৃতীয় বলটি করার সময় স্ট্রাইকে ছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। লেগ সাইডে সান্টোকি এমনই বড় এক ‘ওয়াইড’ ডেলিভারি দেন, যা ধরতে রীতিমত ঘাম ঝড়েছে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনের। তিনি বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে বলটা গ্লাভসবন্দী না করলে ওয়াইডের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৪ রান পেয়ে যেত চট্টগ্রাম।

পরের দুটি ডেলিভারিতে ক্যারিবীয় পেসার রান দেননি। কিন্তু পঞ্চম ডেলিভারিতে এসে দিয়ে বসেন বিশাল এক ‘নো’। এতই বিশাল, দাগ থেকে তার ডান পা প্রায় এক হাত বাইরে ছিল। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে মোহাম্মদ আমির যে ‘নো’ বল দেয়ার কারণে নিষিদ্ধ ছিলেন পাঁচ বছর। সান্টোকির ‘নো’ বলটা ছিল তার চেয়েও বড়।

স্বভাবতই তার এমন বোলিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ ‘অন্য কিছুর’ গন্ধও পাচ্ছেন। চোখে পড়ার মতো বিষয়ই তো। চোখ এড়ায়নি ইংলিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের প্রধান ক্রীড়া লেখক বার্নি রনিরও। তিনি ব্যঙ্গ করে দুটো বলকেই ‘দুর্ভাগ্যজনক ওয়াইড আর নো’ বলেছেন।

এ বিষয়ে সিলেট থান্ডার্সের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি আসলে খেয়ালই করি নাই নো বলটা। কত বড় ছিলো বা কী…এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো। কারণ আমি ঐভাবে দেখিই নাই সেটা।’

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর