অর্থ আত্মসাৎ: দুদকের হাতে মৎস্য কর্মকর্তা ও ঠিকাদার আটক

দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এর করা মামলায় দিনাজপুর জেলা মৎস্য অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম এবং ঠিকাদার মো. আফসার আলীকে আটক করেছে দুদক।মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে দুদক এই দুজন আসামিকে আটক করেছে বলে জানা যায়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, জেলা মৎস্য অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, ঠিকাদার মো. আফসার আলী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, পুলহাট দিনাজপুরের ৪টি পুকুর পুনঃখনন বাবদ ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, সীমানা প্রাচীর পুনঃনির্মান বাবদ ৭৯ হাজার ৯২৫ টাকা এবং ৪টি পুকুর পুনঃখনন বাবদ উত্তোলিত বালু অবৈধভাবে বিক্রি বাবদ ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫০ টাকা পরস্পর যোগসাজশে মোট ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭২১ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক আত্মসাৎ করায় তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়।

দুদকের করা একই মামলায় খামার ব্যবস্থাপক মো. ফয়জার রহমান এবং মেসার্স দ্বীপ এন্টারপ্রাইজের দিলরুবা আলীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলা জানায় দুদক।

অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মঙ্গলবার জেলা মৎস্য অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ও ঠিকাদার মো. আফসার আলীকে আটক করে দিনাজপুর কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “পুকুর পুনঃখনন, সীমানা প্রাচীর পুনঃনির্মান এবং উত্তোলিত বালু অবৈধভাবে বিক্রি করে প্রায় ১৬ লাখ টাকা যোগসাজশ করে আত্মসাত করার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। একই মামলায় বাকি দুজন আসামিকেও আটকের প্রক্রিয়া চলছে।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর