আমি শংকিত আমার জীবন নিয়ে: ইলিয়াস কাঞ্চন

আমি শংকিত আমার জীবন নিয়ে, আমার পরিবারের জীবন নিয়ে, আমার সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে। আমি সরকারের কাছে আহবান জানাবো আমাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

বুধবার ( ১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি’র মিথ্যাচারের প্রতিবাদে নিরাপদ সড়ক চাই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিসচা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আলম দীপেন, যুগ্ম মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবুল, বেলায়েত হোসেন খান নান্টু, অর্থ সম্পাদক নাসিম রুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক একে আজাদ ও আবদুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মিরাজুল মইন জয়, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ আলম মিলন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আসাদুর রহমান, সহ প্রচার সম্পাদক সাফায়েত সাকিব, কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল হোসেন খান, সৈয়ক একরামুল হক, এম জামাল হোসেন মন্ডল, মিষ্টি চৌধুরীসহ সাধারণ সদস্য। এছাড়া শাখা পর্যায়ে ধামরাই, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড শাখা, সাভার ও আশুলিয়া কমিটির সদস্যবৃন্দসহ প্রমুখ।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা কখনই চালক-মালিকদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবিনা। কিন্তু তিনি বারবার এই চালক-মালিকদেরকে আমার, আমার সংগঠন, আমার পরিবার ও নিসচার সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি শাহজাহান খানের এমন মিথ্যাচার শুধুমাত্র নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্যই বলছেন। তিনি এইসব মানহানীকর কথা বলেছেন জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য। সেইসাথে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কে বাধাগ্রস্ত করতে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে অবান্তর প্রশ্নের অবতারণা করছেন।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি শংকিত। যে টাকার হদিস শাজাহান খান দিতে চাইছেন সেই টাকা তো ছুঁয়ে দেখা তো দূরের কথা আমি এবং আমার সংগঠন চোখেও দেখেনি। যদি তিনি দেখে থাকেন, জেনে থাকেন তাহলে হদিস দিন। কারণ আমাদের নামের টাকা অন্য কেউ নিয়ে যায়নি তো? শাজাহান খান সাহেবকে বিষয়টা পরিস্কার করতে হবে। যেটা সত্য সেটা তুলে ধরতে হবে। নতুবা এই টাকার তীর আমিও তার দিকে ছুঁড়তে পারি। কারণ তিনি যেভাবে নিশ্চিত(!) হয়ে বলছেন তাতে আমার সন্দেহ হওয়াটা অমূলক নয়! আমি আবারও তাঁকে ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিচ্ছি- এই সময়ের মধ্যে এই তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। নতুবা আমি আইনের পথেই হাঁটবো। আমরা ইতিমধ্যে আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নই। আমি আপামর মানুষের স্বার্থে কথা বলি। আজকের সড়ক পরিবহন আইনটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে। আইনের খসড়া সরকার ওয়েব সাইটে উন্মুক্ত রাখে দীর্ঘদিন। অংশীজনদের এ আইনে সম্পৃক্ত করা হয়। জনগণের মতামত দেওয়ারও সুযোগ রাখা হয়েছিল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে যেসব সংগঠন কাজ করে তাদের প্রতিনিধিরাও মতামত দিয়েছেন। গণপরিবহন সেক্টরের চালক, মালিক শ্রমিকদের মতামত ও দাবি-দাওয়া শুনেছে সরকার। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ৩৫ বছরের পুরানো আইনকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা করেছে সরকার। আমি নিসচার পক্ষ থেকে দেশের সড়ককে নিরাপদ করার লক্ষে আইনের বিষয়ে আমাদের মতামত তুলে ধরেছিলাম। আইন প্রণয়নে আমার কোনও সুযোগ ছিলনা। কিন্তু তারপরও আমাকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক কথা বলা দুঃখজনক।’

বার্তা বাজার/এম.সি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর