অপহরণের ৫ দিনও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী

দ্বিতীয়বার অপহরণ পাঁচ দিনও উদ্ধার হয়নি সাতক্ষীরা সদরের শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়র সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রী। এমনকি গ্রেপ্তার হয়নি কোন অপহরণকারিও। ফলে অপহৃতের পরিবারের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

উত্তর ফিংড়ি গ্রামের স্কুল শিক্ষক স্বপন কুমার মিস্ত্রী জানান, তার মেয়ে সীমাকে গত পহেলা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভট পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে মোটর সাইকেল করে অপহরণ করে নিয়ে যায় দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের ওহিদুল শেখের ছেলে বখাটে রায়হান শেখ।

তাকে অপহরণে সহায়তা করে ওহিদুল শেখ. তার স্ত্রী দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ৫৪ নং চরবালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা আছিয়া খাতুন ও রায়হানের মামা জালাল। রাতেই দেবহাটা থানাধীন কদবলতলা নামক স্থান থেকে সীমাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে রায়হান, তার বাবা ও মামার নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা করায় ক্ষুব্ধ ছিল ওহিদুল, স্ত্রী আছিয়া. রায়হানের খালু, শিমুলবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ সরদার ও তাদের স্বজনরা। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবারো মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।

এরই অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে একটায় স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর রাস্তার উপরে উঠতেই তার মুখে কাপড় দিয়ে চেপে ধরে মোটর সাইকেল করে অপহরণ করে রায়হান, তার বাবা ওহিদুল, ইউনুছ ও জামালসহ কয়েকজন। সীমার যমজ বোন সাথীও সহপাঠী ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চরবালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সীমা অপহরণের পর থেকে রায়হানের মা আছিয়া প্রতিনিয়ত অপহরণকারিদের সঙ্গে যোগাযাগ রেখে চলেছে। যা’ তার মোবাইল কললিষ্ট যাঁচাই করলেই সত্যতা মিলবে। রবিবার স্কুল চলাকালিন সময় আছিয়া ক্লাস থেকে বের হয়ে দূরে যেয়ে তার ছেলের সঙ্গে গোপনে দেখা করেছেন বল তিনি জেনেছেন।

স্বপন কুমার মিস্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে ২ ডিসেম্বর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত তা নিশ্চিত করেছে। ফলে ওহিদুল, স্ত্রী আছিয়া ও তাদের ছেলে রায়হান, মামু জালাল ও খালু ইউসুফ মামলা তুলে না নিলে সীমাকে আর পাওয়া যাবে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রবীন মন্ডল জানান, তিনি ছুটিতে থাকাকালিন সোমবার আসামী ওহিদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান সহকারি উপপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন। আসামীরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা টলছে।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর