ধর্ষণের পর হাতে ধরিয়ে দিলো ২০ টাকা

মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহিম নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে গ্রামবাসী। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করে।

এঘটনায় কিশোরীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযুক্ত আব্দুর রহিম দৌলতপুর উপজেলার শিকদার পাড়া গ্রামের রহম আলী মোল্লার ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক।

ধর্ষিতা কিশোরীর বড় বোন জানান, জন্মের পর থেকেই তার ১৪ বছরের কিশোরী বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। মঙ্গলবার দুপুরে সে প্রতিবেশী ফজর শেখের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে ফজর শেখের শ্যালক আব্দুর রহিম কৌশলে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য আব্দুর রহিম ওই কিশোরীর হাতে ২০টি টাকা দেয়।

এর পর ২০ টাকা নিয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাড়িতে ফেরে মেয়েটি। কান্নাকাটির কারণ ও হাতে ২০ টাকা কোথায় পেল জিজ্ঞাসা করলে কিশোরী সব খুলে বলে।

তার বাবা বিষয়টি প্রতিবেশী ও মাতবরদের জানান। ঘটনা জানার পর গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে আব্দুর রহিমকে ধরে নিয়ে আসে। সবার সামনে রহিম ধর্ষণের ঘটনা স্বীকারও করে। এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী রহিমকে গণপিটুনি দেয়। পরে স্বজরা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি সুনীল কুমার কর্মকার জানান, বুধবার সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এরপর নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর