খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সংঘর্ষে ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আহতরা হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার। গুরুতর আহত অবস্থায় ইশরাককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে আহত ছাত্রলীগ কর্মী তাহমিদুল হক ইশরাক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নিল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইযাসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথ, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।

আহত ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হল ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী আনন্দ মিছিল করেছিল। একইসঙ্গে তারা আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনকে স্বাগত জানায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহ ওই ছাত্রদের হল থেকে বের করে দেন। তখন থেকে আসনটির নতুন সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেনের অনুসারীরা হলের বাইরে ছিলেন। এরই মধ্যে তাদের পরীক্ষা শুরু হয়। রোববার রাতে তারা হলে প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগর সভাপতি অনুসারীরা বহিরাগতদের নিয়ে তাদের বাধা দেন। এ সময় প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে চারজন আহত হন।

এ বিষয়ে কুয়েটের উপাচার্য ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই।

বার্তাবাজার/এম আই