দীর্ঘ টানা পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। সহসাই বৃষ্টি না হলে এমন অবস্থা চলবে আরোও কদিন জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দিনের বেলা তেমন শীত না পড়লেও সন্ধা থেকে শেষ রাত পর্যন্ত তীব্র শীত পড়ে এ জেলায়। আর সকাল বেলা শীতের সাথে যুক্ত হয় হিমেল বাতাশ। এই হিমেল বাতাশে কাহিল জেলার গ্রামাঞ্চল ও শহরের মানুষ।বেশী ভোগান্তিতে পড়ে শ্রমজীবী মানুষেরা। যারা দিন এনে দিন খায় তাদের অনেকেই হার কাঁপানো ঠান্ডায় কাজের খোঁজে বের হতে পারছে না। ফলে পরিবারের জন্য খাদ্যের সঠিক সংকুলান ও করতে পারছে না। এমন ঠান্ডায় আলু চাষীরা চরম বিপাকে পড়ছেন,ব্লাইট নামক রোগের আক্রমণে ক্ষেতের সীমাহীন ক্ষতি হচ্ছে।

ছিন্নমুল মানুষেরা একটু গরমের উপায় হিসেবে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারন করার চেস্টা করছে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে বলে কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে জানা গেছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করার কাজ চলমান রয়েছে। ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন তাদের সাধ্যমতে ৫ শতাধিকের বেশী শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের তথ্যমতে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট ও এর আশেপাশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কয়েকদিন ধরে জেলা ও এর আশেপাশের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ উঠানামা করছে।

বার্তাবাজার/এম আই