সরকার নানাভাবে নাশকতার করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীদের একটি মিছিল এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের জন্য সরকার দায়ী। তারা নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে, নানাভাবে নাশকতার করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ট্রেনে আগুনে পুড়ে নিহত হতে দেখলাম, তীব্র ক্ষোভ, শোক, ঘৃণা আমাদের প্রকাশের কোনো ভাষা নেই। এই ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে সেগুলো খুঁজে বের করুন। আমরা স্বাধীন তদন্তের দাবি করেছি এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে না এলে ভাতার কার্ড বাতিলের হুমকি দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আপনারা (সরকার) দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও আপনারা ভয়ে কম্পমান। মানুষকে ভয় দেখানো ছাড়া ভোট কেন্দ্রে কাক পক্ষীকেও নিতে পারবে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রোববার ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মানে এই দুর্বৃত্ত শাসনকে দীর্ঘায়িত করা। ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মানে এই চোর, এই লুটপাটকারী, খুনি-মাফিয়া-সন্ত্রাসী, ওদের অবৈধ-দখলদারিত্বকে আরও সেখানে দীর্ঘায়িত করার সহযোগী হওয়া।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নেতা প্রিতম দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলেল শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু ও নাগরিক ঐক্যের মোফাখখারুল ইসলাম নবাব বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, এলডিপি, লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদা আলাদাভাবে তোপখানা রোড ও বিজয় নগর সড়কে মিছিল করে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই