একটি আবেদনে সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, অ্যাডমিট কার্ডসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৯টি সেবা পাবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ফি জমা দিতেও পারবেন তারা। কোনও শিক্ষার্থীকে ফি জমা দিতে ব্যাংকে যেতে হবে না।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন বলে জানানো হয়।

শুধু তা-ই নয়, যে বিষয়ে আবেদন করা হবে, তা প্রস্তুত হলে বার্তা চলে যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন নম্বরে ও মেইল আইডিতে।

সভায় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা-সংক্রান্ত সেবাগুলো যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এক আবেদনে পেতে পারে, সে জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষা-সংক্রান্ত সেবা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দ্রুত ও স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদানের জন্য নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে সেবা পাবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯টি সেবা একই আবেদনে পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) প্রবেশ করে সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে স্টুডেন্ট লগিনে গিয়ে এক্সামিনেশন সার্ভিস মেন্যুতে যেতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে কমবাইন্ড সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে ডকুমেন্টস কারেকশন মেন্যুতে ক্লিক করে ছয়টি সেবা একসঙ্গে গ্রহণ করতে পারবে।

এই সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, ট্রান্সক্রিপ্ট (দ্বিতীয় বার)। আর ডুকমেন্টস ডুপ্লিকেট মেন্যুতে ক্লিক করে চারটি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট।

একইভাবে ইমপ্রুভমেন্ট মেন্যুতে ক্লিক করে দুটি সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট। ট্রান্সলেশন মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন তিনটি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট। ফ্রেশ কপি মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন চারটি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, অরজিনাল সার্টিফিকেট।

আবার আগের মতো আলাদাভাবেও সেবা নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। তবে একসঙ্গে আবেদন করলে অর্থ ও সময় উভয় দিক থেকেই সাশ্রয় হবে বলে জানানো হয়।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত এ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) দফতরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা, ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সেলের সচিব ড. আলী জাফর চৌধুরী।

বার্তাবাজার/এম আই