ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আলোচনায় থাকতে পছন্দ করেন, তিনি আলোচনায় থাকেনও। সেটা ফুটবল হোক কিংবা ফুটবলের বাইরে। যে কোনো ইস্যুতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেন না এই পর্তুগিজ। যখনই মনে হয় কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনায় আসা দরকার তখনই যে কোনোভাবেই হোক সেই বিষয়কে সামনে নিয়ে আসেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হলান্ড জিতেছেন ফুটবলের ইতিহাস ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস (আইএফএফএইচএস)-এর বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এ পুরস্কার জিততে সিটির স্ট্রাইকার পেছনে ফেলেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপ্পে ও বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। আইএফএফএইচএস এর সেরা দশেও নেই পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো। সংস্থাটির লিস্টে পর্তুগালের একমাত্র ফুটবলার বার্নাদো সিলভা রয়েছেন আট নম্বরে। যেটি মানতে পারেননি রোনালদো।

পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ‘এ বোয়া’র ইনস্টাগ্রামে আইএফএফএইচএস এর সেরা ৯ জনের ছবি দিয়ে একটা কার্ড শেয়ার করা হয়। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। ইনস্টাগ্রামে পোস্টটিতে রোনালদোর অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে কমেন্ট করা হয়। সেখানে হাহা রিঅ্যাক্ট দেন তিনি। এ ছাড়া লজ্জার ইমোজি দিয়েও হল্যান্ড, এমবাপ্পে, মেসির এই সেরা হওয়াকে কটাক্ষ করতে ভুল করেন না রোনালদো ।

রোনালদোর এমন কর্মকাণ্ড এটাই প্রথম নয়। এর আগেও অসংখ্যবার এমন কর্মকাণ্ড করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়ে এমন হাস্যরসাত্মক কর্মকাণ্ড করেছিলেন রোনালদো। যেখানে স্পষ্টই বোঝা যায় মেসির আট নম্বর ব্যালেন ডি’অর জেতা নিয়ে এক প্রকার ব্যাঙ্গই করেছেন তিনি।

এদিকে ৫৯ ম্যাচে ৫৪ গোল করে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রোনালদো। যেখানে পর্তুগালের জার্সিতে আন্তর্জাতিক গোল রয়েছে ১০টা। এ বছর ৫০ সংখ্যাটাকে রোনালদো ছাড়া ছুঁয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন, সিটির হলান্ড এবং পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে। আইএফএফএইচএসের সেরা ফুটবলার হল্যান্ড করেছেন ৫০ গোল। গোল সংখ্যায় সবাইকে পিছনে ফেললেও সেরা ১০ এ না থাকায় হয়তো বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি রোনালদো। হতেও পারে এজন্য তার এমন প্রতিক্রিয়া।

বার্তা বাজার/জে আই