এবার বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কোনো হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার বা সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ।

বুধবার (১ নভেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে, হয়রানি করে, কারাবন্দি করে নির্বাচন করা হলে, তা যে সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হবে না, সে বিষয়ে জোর দিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব কি সংস্থার এই সদস্য রাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন?

জবাবে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংস্থার অবস্থান তারা খুব স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন।

স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে কোনো হয়রানি, নির্বিচার গ্রেফতার বা সহিংসতা তারা দেখতে চান না। এসবের বিরুদ্ধেও তারা কথা বলেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংকটের এ সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

এতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে একের পর এক সহিংসতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশটিতে সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় আমরা রাজনৈতিক সব পক্ষের প্রতি এটা স্পষ্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি যে এমন সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে সহিংসতা উসকে দেয়— এমন বক্তব্য ও তৎপরতা থেকে বিরত থাকতেও আমরা রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বার্তা বাজার/জে আই