আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে পটুয়াখালীতে “গার্লস টেক ওভার” কর্মসূচিতে এক ঘন্টার জন্য পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড হাফিজুর রহমানের পদে এক ঘন্টার জন্য প্রতীকী দায়িত্ব পালন করেছেন ১৬ বছর বয়সী কন্যা শিশু, এনসিটিএফ পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাফিউন নিহার অনি।

‘মেয়েদের এক্টিভিজম ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ স্লোগানে বিগত বছর গুলোর ন্যায় এবারও কন্যা শিশুদের এগিয়ে নিতে সাহস, শক্তি ও প্রেরণা জোগাতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইয়েস বাংলাদেশ ও ইয়ুথ ফর চেইঞ্জ বাস্তবায়নে পটুয়াখালীতে “গার্লস টেক ওভার” কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ)।

কর্মসূচীর আওতায় স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্টরা মাঠ পর্যায়ে জনসেবা ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে কন্যা শিশুদের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবার এবার জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনসহ জেলা পরিষদের কার্যাবলী সম্পর্কে ধারণা লাভ এবং নারী ও শিশুদের কল্যাণে প্রকল্প গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী জেলা পরিষদে এ প্রতীকী দায়িত্ব হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

এনসিটিএফের সভাপতি রুবাইয়াত হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড হাফিজুর রহমান, প্রতীকী চেয়ারম্যান ও এনসিটিএফের সাধারণ সম্পাদক নাফিউন নিহার অনি, চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী আয়েশা হুমায়রা, প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী সদস্য কামরুন্নাহার জেসমিন, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেএম শাহাদাত হোসেন ও ইয়েস বাংলাদেশের সভাপতি হাসিবুর রহমান প্রমুখ।

এসময় প্রতীকী চেয়ারম্যান নাফিউন নিহার অনি বলেন, নারী ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, এবং ম্যানেজমেন্টের যে উদ্দেশ্য রয়েছে সেটা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করব। আমি বিভিন্ন বস্তিতে পাড়া মহল্লায় যেখানে ঘন বসতি আছে সেখানে উন্নত মানের পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ করব। সেখানে নারী ও পুরুষদের জন্য সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তাদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসম্মত পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলবো।

তিনি আরও বলেন, মাসিক কালীন সময়ে নারী ও কিশোরীদের জন্য আলাদা পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সেনেটারি ন্যাপকিন থাকবে। যে সকল দরিদ্র নারীরা রয়েছে তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ। বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে তাদের কি করতে হবে সে বিষয়ে তারা অসচেতন থাকে ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তারা যাতে নিজেদের ব্যাপারে সচেতন হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।

এছাড়াও মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম। বিভিন্ন দিবস অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করব।

এছাড়াও বলেন, ছিন্নমূল শিশুদের পরিচর্যা বিনোদন ও শিক্ষা সহ সার্বিক বিকাশ নিশ্চিতে প্রকল্প গ্রহণ করব। খাবার পানি সংকটে আধুনিক পানির সংশোনোধাগাড় স্থাপন করব। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করব।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী কমিটি সমূহ সক্রিয়করণ।

ইউনিয়ন কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কমিটি সক্রিয় করণে সহযোগিতা।

বজ্রপাতে নিত্যদিন অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সকল এলাকায় তালগাছ রোপনের মধ্য দিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা প্রকল্প গ্রহণের জন্য প্রস্তাব করেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড হাফিজুর রহমান বলেন, কন্যা শিশুদের আত্মবিশ্বাস, সাহস ও প্রেরণা জোগাতে গার্লস টেক ওভার কর্মসূচীটি অন্তত চমৎকার একটা উদ্যোগ। এবারে আমার অফিস জেলা পরিষদ কে বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এনসিটিএফ এর নারী ও শিশুদের কল্যাণে সকল কার্যক্রমে জেলা পরিষদ সব সময় পাশে থাকবে।

বার্তাবাজার/এম আই