ভদ্রাবতী নদীর এঁকেবেঁকে চলা জলরাশির মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য গাছ সৌন্দর্য প্রকাশ করতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে। প্রথম দেখাতে মনে হবে মিনি সুন্দরবন। এ নদীতে নেই কোনো সুন্দরী বা গেওয়া, গরান, কেওড়া গাছ। তবে মিনি সুন্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে। এই সুন্দরবনে দেখা মেলে না কোনো কুমিরের পায়ের ছাপ, নেই দল বেঁধে ছুটে চলা হরিণ, কিংবা বাঘ।

উত্তরবঙ্গের রাজধানী বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর দিয়ে বয়ে গেছে ভদ্রবতী নদী। আর এই মুরাদপুর বাজারে অবস্থিত নন্দীগ্রাম-শেরপুর রাস্তার নদীর দুই তীরে গাছগুলো দেখে মনে হবে প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যের নীলা ভূমি।

এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী ভির করছে মুরাদপুর ভদ্রবতী নদীতে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার ও শেরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরাদপুর মিনি সুন্দরবন।

নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এর সৌন্দর্য্য আরও দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দীগ্রাম, শেরপুর, বগুড়া ও নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য আসছেন।

সকাল বেলা দর্শনার্থীদের ভীর কম থাকলেও বিকালে উপচে পড়া ভির জমে। নৌকা নিয়ে মিনি সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য প্রতিজনের দিতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। এছাড়াও রিজার্ভ নৌকা নিয়ে ঘোরাঘুরি সুযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমাদের এই মিনি সুন্দরবনে প্রতিদিন অনেক লোকজন আসে। সকালে মানুষ কম থাকলেও বিকালে অনেক লোকজন হয়। এই সুন্দরবনকে কেন্দ্রে করে মুরাদপুর বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য অনেকগুন বেড়ে গেছে।

নৌকার মাঝিরা জানায়, একটি নৌকার ভাড়া থেকে প্রতিদিন তারা প্রায় ২০০০-২৫০০ টাকা আয় করছে। অনেক লোকজন মুরাদপুরে আসছে সুন্দরবন দেখার জন্য। নদীতে যতদিন পানি থাকবে ততদিন তারা নৌকা চালাবে।

নন্দীগ্রাম উপজেলায় ভালো কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। এই ভদ্রাবতী নদীকে ঘিরে উন্নত মানের বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করছেন সেখানকার স্থানীয় মানুষ।

বার্তা বাজার/জে আই