জমি নিয়ে বিরোধে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সাইফুল আলম (৭৫)) নামে এক ব্যক্তিকে লাঠির আঘাতে হত্যা করেছে আপন ছোট ভাই দেলোয়ার মৃধাসহ তার লোকজন। এসময় হামলায় নারীসহ গুরুতর আহত ৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

শনিবার বিকালে (৩০ সেপ্টেম্বর) ৫টার দিকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কবিরহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমি ও নারিকেল গাছ দখল নিয়ে মৃত সাইদুর রহমান মৃধার দুই ছেলে ঢাকায় বসবাসকারি সাইফুল আলমের (৭৫) সঙ্গে ও রায়পুরে গ্রামে বসবাসকারি দেলোয়ার হোসেন মৃধার যাতায়াতকৃত জমির বিরোধ চলছিলো। এ বিরোধের জেরে শনিবার বিকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এতে মাথায় ধারালো অস্রের আঘাতে মারাত্নক জখম হয় ঢাকায় বসবাসকারি সাইফুল আলমের। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার ইয়াসিন মাহমুদ ঢাকায় প্রেরন করলে পথেই মারা যান তিনি।

এসময় উভয় পক্ষের নাহার বেগম, দেলোয়ার মৃধা, নাজমুন নাহার, আবু মুছা মোহন, শিমুল হোসেনসহ ৭ জন আহত হন। রাত ৯ টায় হাসপাতালে ভর্তি দেলোয়ার, শিমুল ও মোহন সহ অন্যরা পালিয়েছে।

বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন বলেন, বাড়ীর যাতায়াতে রাস্তার জমি ও তিনটি নারিকেল গাছ নিয়ে সাইফুল আলমের সঙ্গে তারই আপন ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন মৃধার বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধপূর্ণ জমি ও গাছ দখল নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারি ও তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। এঘটনায় সাইফুল আলমকে রায়পুর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা নেয়ার পথে চাঁদপুর পৌঁছলেই তিনি মারা যান।

এঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার মৃধা মোবাইলে জানান, আমার বড় ভাই, ভাবি, ভাতিজা অন্যায়ভাবে আমার জমি দখল করতে আসে। এসময় আমি ও আমার পরিবার বাধা দিতে গেলে তারা হামলা করে আহত করেছে। আমিসহ তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে রোববার সকালে সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

বার্তা বাজার/জে আই