বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগ বা সরকারের সঙ্গে গণতন্ত্রের সংঘাত চলছে। যেখানে গণতন্ত্র সেখানে আওয়ামী লীগ নেই, যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানে গণতন্ত্র নেই। আমরা দেশে গণতন্ত্রের জায়গাটি নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করছি।

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দেশব্যাপী দলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলে, আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করি, আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করে দেশের এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশটাকে মুক্ত করি। সেজন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। এটাই আমাদের প্রত্যয়। অথচ প্রশাসনের কিছু কিছু ভাইয়েরা চান না দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হোক। কিন্তু দেশের মানুষ চায়। শেখ হাসিনা তার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হবে। কারা সরকারে আসবে এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে।

গয়েশ্বর রায় বলেন, এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ যখন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও আর টিকতে পারবে না। জনগণ ফুঁসে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। জনগণ রাস্তায় নামছে এবং আমাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিউৎসাহী লোকজন আমাদের নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি এখন তো আমরা কোনো কর্মসূচি পালন করলে আপনাদের ইনফর্ম করি, কিন্তু যেদিন চূড়ান্ত আন্দোলন করবো সেদিন কোনো ইনফর্ম নয়, সেদিন অধিকার আদায়ের হাতিয়ার হয়ে জনগণ রাজপথে থাকবে। পারলে সেদিন জনগণকে ঠেকাবেন। সেদিন আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে। আর এটা করবো আমার বাঁচার অধিকার নিয়ে। তাই আমি অনুরোধ করব জনগণের টাকায় যাদের বেতন হয় সেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাারী বাহিনীর ভাইয়েরা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকুন। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়া। সহসাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবুসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

বার্তা বাজার/জে আই