নীলফামারী ডোমারে এক দন্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মচারীর বিরুদ্ধে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের অপচিকিৎসার প্রতিকার চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করছেন মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার পৌর এলাকার সাহা পাড়া এলাকায় মাদার ডেন্টাল কেয়ার। যেখানে আশরাফুল আলম নামে এক যুবক রোগীদের দাঁতের চিকিৎসা দেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এই প্রতিবেদক নিজের পরিচয় গোপন রেখে চলতি মাসের শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মাদার ডেন্টাল কেয়ারে যায়। এসময় ওই যুবক প্রতিবেদকে বলেন, দাঁতের সমস্যা নিয়ে আসলে ভিতরে রুমে প্রবেশ করুন। পরে ওই রুমে গেলে তিনি দাঁত দেখে দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা করানো কথা জানান। আপনি ডাক্তার কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই যুবক বলেন, এখানে আমিও রোগী দেখি এবং আমার স্যার রোগী দেখেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদার ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী এবং ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক মোঃ রাসেল আহমেদের কাছে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা নিতে আসেন মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যাক্তি। চিকিৎসা শেষে ওই রুগী বাড়ীতে যাওর পরে দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা ও মুখ ফুলে যাওয়ায় অস্থির হয়ে পড়েন। পরে অন্যত্রে চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হন এবং তিনি জানতে পারেন তার দাঁতে ইনফেকশন হয়েছে। পরে চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে মাদার ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও ডেন্টিস্ট দাবিদার মোঃ রাসেল আহমেদ ডি.এম.টি ডেন্টাল সরকারি আই.এইচ.টি প্রযুক্তিবিদে বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ এনে নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোড়া গাড়ি মেডিকেলের এক স্টাফ ডা:মোঃ রাসেল আহমেদ কাছে চিকিৎসা নিয়ে এখন মুখের সমস্যায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে মাদার ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী মো: রাসেল আহম্মেদ জানান, আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর রোগী দেখার কোন নিয়ম নেই। যেহেতু সে দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত সে বেশ কিছু কাজ জানে। তবে সে সর্বোচ্চ রোগী চেকআপ করতে পারে।

লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শুধুমাত্র মুখ ওয়াশ করিয়েছিল। ইনফেকশন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।‌ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়াও ডোমারের রুবাইয়া ডেন্টাল কেয়ার এন্ড কিউ নামে এক দন্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২০সেপ্টেম্বর) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি অভিযান পরিচালনা করেন। রুবাইয়া ডেন্টাল কেয়ার এন্ড কিউরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং এক্স-রে মেশিন না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালত বসায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

পরে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ সুমন রহমানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯এর ৪৪ধারায় ৩০হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বার্তা বাজার/জে আই