মানিকগঞ্জ বাসষ্টান্ড সংলগ্ন মানরা এলাকায় নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোচ নির্মানের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবিদ মনসুর কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে। জানাযায়, দেশের গুরুত্বপুর্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথের তত্বাবধানে মানরা খালের উপর ১৮ মাস মেয়াদের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ ও ২৫০ মিটার এপ্রোচ। এ ব্রিজের সংযোগ সড়কের এপ্রোচ নির্মানে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী।

স্থানীয় অধিবাসীর অভিযোগ, এই ব্রিজটির এপ্রোচ নির্মানে যে পরিমাণ খোয়া ও বালু ব্যবহার করা উচিত সেটি তো হচ্ছেই না, বরং তার বিপরীতে যা ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো অত্যান্ত নিম্নমানের। দেশের মহাসড়কের মধ্যে রাজধারী ঢাকার নিকটবর্তী অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটির এপ্রোচের কাজে এমন মানহীন অপর্যাপ্ত এবং নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার এলাকাবাসীকে রীতিমত হতাশ করেছে। সড়ক ও জনপথের কিছু অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এমন অনিয়ম চালিয়ে যেতে পারছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মন্তব্য করেন কেউ কেউ। বরং এরকম মানহীন নির্মানে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতি সহ গুরুত্বপূর্ন কাঠামোর পরিপূর্ন করার ক্ষেত্রে সময় অপচয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এতকিছু সত্যেও অজানা কারনেই নিরব ভুমিকা পালন করছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।

নাম উল্ল্যেখ না করার শর্তে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একজন শ্রমিক জানান, এই ইটের খোয়া ও বালু খারপ কি ভালো তা আমি বলতে পারবো না। আমাদেরকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যা মালামাল এনে দিবে, তা দিয়েই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। রাস্তাটিতে চলাচলকারী একাধিক বাস-ট্রাক ও অন্যান্য গণপরিবহন চালকরা জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের সংযোগ সড়কের কাজ চলছে । কিছুদিন গেলেই এই রাস্তা উচু-নিচু হয়ে ফাঁটল ধরবে এবং তাতে সড়ক দূর্ঘটার সম্ভাবনা তৈরী হবে।

আবিদ মনসুর কনস্ট্রাকশনের নিয়োগকৃত প্রকৌশলী তৌহিদ বলেন, ইটের খোয়ার সাইজ একটু বড় থাকতে পারে, এছাড়া প্রায় সব মালামালই ঠিক আছে। আপনারা যদি মনে করেন নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ চলছে, তাহলে আমরা এগুলো সব সরিয়ে নিবো। প্রয়োজন হয়, পুনরায় নতুন করে সংস্কার করে দেয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথের সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, আমার এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার কোন এখতিয়ার নাই। তবে এপ্রোচ তৈরীতে ভালমন্দ মিলিয়েই কাজ করা হচ্ছে। ইটের খোয়ার সাইজ ঠিক আছে। আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে আমাকে জানান, আমি বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ল্যাব টেষ্টে এপ্রোজ নির্মান সামগ্রীর মান ভাল না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে ভাল মানের নতুন সামগ্রী দিতে বলা হয়েছে।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার