কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবগঠিত ৩ টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন।

তিনি বলেন, মুরাদনগরে যেই ৩টি ইউনিয়নে কমিটি করা হয়েছে, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। জানা গেছে, গত সম্প্রতি ঘরে বসে ওই তিন ইউনিয়নের কমিটি করেন মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ও সাধারন সম্পাদক গোলাম সারোয়ার চিনু।

জানা যায়, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তারা কোন নিয়মনীতি এমনকি সম্মেলনও করেননি। নেননি কমিটির অন্যান্য কোন সিনিয়র নেতাদের মতামত। নিজেদের মত করে কমিটি সাজিয়েছেন। এতে যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদের উপেক্ষা করে অযোগ্যদের প্রধান্য দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র অভিযোগ তুলেছে জেলা কমিটির বরাবর। অভিযোগ উঠেছে, অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ এবং স্বজনপ্রীতি করে ৩ টি ইউনিয়নে ‘পকেট কমিটি’ করা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পরই বিতর্কিত ওই ইউনিয়ন কমিটিগুলো স্থগিত করা হয়।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজীব স্বাক্ষরিত পত্রে জানায়, নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন ইউনিটের সম্মেলন এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যাবে না। ইতিমধ্যে আপনারা ১৩নং মুরাদনগর, ২১নং বাবুটিপাড়া ও ২২নং টনকী ইউনিয়নের সম্মেলন ছাড়া মনগড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি মধ্যরাতে প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে উপরোক্ত ইউনিয়ন সমূহ থেকে একাধিক অভিযোগ জেলা বরাবরে এসেছে।

এমতাবস্থায় সম্মেলন ছাড়া মনগড়াভাবে গঠিত উপরোক্ত ৩টি ইউনিয়ন কমিটি বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের পরামর্শক্রমে স্থগিত করা হলো এবং উপরোক্ত ৩টি ইউনিয়নসহ যে সকল ইউনিয়নে কমিটি নাই সে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পরামর্শক্রমে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্র সভাপতি ম. রুহুল আমিন সাহেবের নির্দেশনায়।

বার্তাবাজার/এম আই