পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশা। এই ঘটনার একদিন পর বাস চালককে জরিমানা করার জেরে পাবনা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এতে দুর্ভোগে পড়েন শহরবাসী। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলা এই অবরোধ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পাবনা শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে এঘটনা ঘটে। জরিমানা করার মধ্যস্তাকারী পান্থয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের ম্যানেজার ক্ষমা চাইলে দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলেন নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে আব্দুল হামিদ রোডের পান্থয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসময় পাশের পান্থয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের ম্যানেজার নাজিরউদ্দিন জ্যাকিসহ আশপাশের লোকজন এসে বাসটি আটকায় এবং জরিমানা করে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার জেরে আজকে বেশ কিছু বাসভর্তি শিক্ষার্থী এসে সড়ক অবরোধ করে এবং পান্থয়ার ম্যানেজার নাজিরউদ্দিন জ্যাকিসহ কর্মচারীদের মারধর করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) মাসুদ আলম, সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধা বালা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ, পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু। তারা শিক্ষার্থী ও পান্থয়া কর্তৃৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাদের মধ্যস্থতায় পান্থয়ার ম্যানেজার নাজিরউদ্দিন জ্যাকি নিশর্ত ক্ষমা চাইলে অবরোধ তুলেন নেন শিক্ষার্থীরা।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) মাসুদ আলম বলেন, ‘গতকালের তুচ্ছ ঘটনায় আজকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এবং পান্থয়ার ম্যানেজারসহ কর্মচারীদের মারধর করেন। আমরা আপাতত বিষয়টি সমাধান করেছি এবং এখন স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বাস শহরের প্রাণকেন্দ্রে দিয়ে যাতায়াত করায় মাঝেমধ্যেই এই সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও পান্থয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করেছি। এখন বাস চলাচলের বিষয়টি আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্র আব্দুল হামিদ রোড। সংকীর্ণ এই সড়কের দুইপাশেই শহরর মূল শপিংমল ও বাজারগুলো। দিনের বেলায় এই সড়ক দিয়ে বাস-ট্রাকসহ বড় ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এই সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০টি বাস চলাচল করে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝেমধ্যেই স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়।

বার্তা বাজার/জে আই