প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিটে উল্লেখিত তার গুলশানের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রতিপালন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ওই ঠিকানায় পাওয়া যায়নি তারেক রহমানকে। তাই নোটিশ টানানো হয়েছে বাসার সামনে। তবে এ নিয়ে কেউ স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় ফিরে এসেছেন হাইকোর্টের সেই কর্মকর্তা।

এদিকে, গেলো ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় একটি দৈনিকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার সংক্রান্ত রুলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে আজ সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশে এর আগে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের গুলশানের বাড়ির দরজায় টানিয়ে দিয়ে এসেছি নোটিশ এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টে আজ নোটিশের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা বলেন, গত ১৭ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গুলশানের ঠিকানায় না পেয়ে বাড়ির দরজায় সাটানো হয়েছে হাইকোর্টের নোটিশ।

এর আগে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিটে উল্লেখিত তার গুলশানের ঠিকানায় পাঠাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া আইন অনুযায়ী, জাতীয় দৈনিকে এ নোটিশ জারির বিষয়টি প্রকাশ করতে বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের সার্ভেয়ারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

গত ১৩ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবী ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট সাইদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে শুনানি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ আরও অনেক আইনজীবী।

এর আগে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিটে বিবাদী তারেক রহমানের ঢাকার গুলশানের ঠিকানা সঠিক নয়। ওই ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করে রিটে নতুন করে সম্পূরক আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, আদালত সব শুনে রিটে থাকা ঠিকানা সংশোধন করে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রিটকারীদের নতুন করে আবেদন দিতে বলেন। পরে রিটকারী ঠিকানা সংশোধনের আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেন।

আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়।

বার্তা বাজার/জে আই