কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয়দের সাথে বিজিবির সংঘর্ষে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় বিজিবি ও স্থানীয়দের পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (২ আগষ্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- তৌহিদুল ইসলাম, মো. ইসমাঈল, মো. উসমান, হাফেজ মুজিবুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও একজন।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে লেদা বিজিবির তল্লাশি চৌকিতে স্থানীয় জাফর আলম নামের এক ব্যক্তিকে বিজিবি সদস্যরা আটক করে। এসময় জাফর আলমের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে বিজিবির নিকট আটকের কারন জানতে চায়। একপর্যায়ে বিষয়টি বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরে স্থানীয় জনতা জড়ো হয়ে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরো ৬ জন। হতাহতদের মধ্যে ৪ জন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ জাফরকে আটক করে বিজিবি। জাফরকে নিয়ে লেদা বাজার অতিক্রম করার সময় জাফর এর ভগ্নীপতি হারুন তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বিজিবি ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় জনতার উপর গুলি চালিয়ে জাফরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহলদল আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি চুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে আসামি ও মাদকসহ বিওপিতে ফিরে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আইনী প্রক্রিয়া শেষে জাফরকে মাদকসহ টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবাইয়ের জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই