ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পুরো টেকনাফবাসী। মোখা টেকনাফ অতিক্রম করার ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে টেকনাফ। তবে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রত্যাশা করছে রাত ৮-৯টার মধ্যে তা সচল হতে পারে।

সোমবার (১৫ মে) টেকনাফের গ্রাম ও সদর ঘুরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা শুরুর দিন সকাল থেকেই বিদ্যুৎ নেই টেকনাফে। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে এখনও সচল হয়নি লাইন।

টেকনাফ শহরের দোকানি আবু তাহের বলেন, গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে কারেন্ট চলে গেছে, এখনও আসেনি। আমাদের এখানে লাইন ঠিক থাকলেও অনেক জায়গায় তার ছিঁড়ে গেছে, খুঁটি পড়ে গেছে। এজন্য কারেন্ট আসেনি।

নাফ পেট্রোল সার্ভিসের কর্মী শাহজাহান জানান, গতকাল থেকেই বিদ্যুৎ চলে গেছে। আমরা জেনারেটর ব্যবহার করে পাম্প চালু রেখেছি। কখন বিদ্যুৎ আসবে জানি না।

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমার ইউনিয়নগুলোতে এখন পর্যন্ত কারেন্ট সচল হয়নি। আমার এখানে পাঁচটি ইউনিয়নে বিদ্যুতে লাইনে তার ছিঁড়ে গেছে। এগুলো মেরামতের কাজ চলতেছে। ঠিক হলে হয়তো বিদ্যুৎ আসবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টেকনাফ জোনাল অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদ বলেন, টেকনাফ এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আরও অনেক সময় লাগবে। আমরা পৌরসভায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দশ মিনিটের মধ্যে সার্কিট ব্রেক হয়ে গেছে। টেকনাফ এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আশা করি রাত আটটা নয়টার মধ্যে একটা ব্যবস্থা নিয়ে আসতে পারব। চট্টগ্রামের সুপারিনটেনডেন্ট, কক্সবাজারের জেনারেল ম্যানেজারসহ আমার পুরো টিম ফিল্ডে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববার ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। ঐদিন সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে লাইনগুলো বন্ধ হয়েছিল। এগুলো আমরা নিজ থেকে একটি লাইনও বন্ধ করিনি। যে লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো আর চালু করা হয়নি। সকাল ৯টার পর থেকে প্রত্যেকটা লাইন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

বার্তা বাজার/জে আই