টকশোতে ‘আপত্তিকর ও মানহানিকর’ বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

নিজে বাদী হয়ে রোববার সকালে ঢাকায় বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২) ও ২৯(১) ধারায় মামলার আবেদন করেন এমপি এনামুল হক। সংসদ সদস্য ইঞ্জি. এনামুল হকের পক্ষে সাইবার আদালতে মামলাটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন।

আইনজীবী জানান, দিনের দ্বিতীয়ভাবে বিজ্ঞ আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

মামলার এজাহারে সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, গত ১৯ জুলাই রাত ১টার সময় ও পরের দিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এনামুল সাহেব বাগমারার। জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখিনি। বরং বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করত তখন শিবিরের প্রেসিডেন্ট ছিল। এ ধরনের দেওয়া বক্তব্যে তার ব্যাপকমাত্রায় মানহানি ও সমাজে মর্যাদাহানি হয়েছে বলে অভিযোগ বাদীর।

বাদী আরও বলেন, তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করেন। তিনি জীবনে কোনো দিন শিবিরের রাজনীতিতে ছিলেন না। জনগণের ভোটে রাজশাহী-৪ আসনে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাও বটে।

অন্যদিকে এজাহারে আসামি মিনু সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনি একাধারে রাজশাহী সিটির মেয়র ও রাজশাহী-২ (সদর) সংসদ সদস্য ছিলেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন। তবে মিজানুর রহমান মিনু স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে ২০০১ সালে বাংলা ভাইসহ জঙ্গিদের রাজশাহীর মাঠে নামান। যারা রাজশাহীর বাগমারাসহ বিভিন্ন স্থানে নিরপরাধ মানুষের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালায়।

এমপি এনামুল হক আরও বলেন, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়াই টেলিভিশন টকশোতে তার সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন যার কোনো প্রমাণই তার কাছে নেই। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রতিকার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

মামলার আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। আমি অনেক উত্থান পতন দেখেছি। আমি যা জানি তাই বলেছি। মামলা হলে আইনি প্রক্রিয়ায় তা মোকাবিলা করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই