বাবা হাফেজ বাবু বিশ্বাস দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। তার অনেক দিনের ইচ্ছা বড় ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে দিতে নিয়ে যাবেন। ঠিক সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিলো। বাবার স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন ছেলে ইমরান হোসেন।

শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধিখোলা গ্রামের হাফেজ বাবুল বিশ্বাসের ছেলে হাফেজ ইমরান হোসেন পাশের লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষীপাশা এলাকায় হেলিকপ্টারযোগে বিয়ে করতে যান।

লক্ষীপাশা মোল্যার মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমে প্রাইভেটকারে লোহাগড়া কলেজপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার হেলিকপ্টারযোগে বধূ ঐশীকে নিয়ে বাড়িতে আসেন বর ইমরান হোসেন। হেলিকপ্টারটি অবতরণ করেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কমপ্লেক্স চত্বরে।

এদিকে, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের বিষয়টি এলাকাতেও ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ে উপলক্ষে চার শতাধিক আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বর ইমরান রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিএসসির শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে ঐশীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শনিবার হেলিকপ্টারযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে কনেকে বরের বাড়িতে তুলে আনা হয়। হেলিকপ্টারে বর ও কনের আসা-যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টায় খরচ গুণতে হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

পাইকমারী গ্রামের স্কুল শিক্ষক কামরুজ্জামান মুকুল বলেন, এক সময়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ছিলো পালকিতে বিয়ে। কালক্রমে তা হারিয়ে গিয়ে এখন সাধারণত প্রাইভেটকার, বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে বরযাত্রী আসা-যাওয়া করে। এই প্রথম আমাদের এলাকায় হেলিকপ্টারে বিয়ে হলো। অনেকের কোটি কোটি টাকা আছে কিন্তু এমন শখ খুব কম মানুষেরই আছে। বাবু বিশ্বাস হেলিকপ্টার ভাড়া করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। আমাদের এলাকার মানুষ কখনো এতো কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখেনি। এ কারেণ শত শত উৎসুক জনতা হেলিকপ্টার ও বর-বধূকে দেখার জন্য উপস্থিত হন।

বার্তাবাজার/এম আই