সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে পক্ষাপাতিত্বের অভিযোগ এনে কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধরকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

শনিবার উপজেলার সদরে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেম চেয়ারম্যান বলেন, শুক্রবার রাতে আমার কর্মীদের নিয়ে বারেরা এলাকায় প্রচারণায় যাই। নৌকার কর্মীরা আমার প্রচারণায় বাঁধা দেয়। পুলিশকে জানানোর পরও তারা ঘটনাস্থলে যায়নি। পুলিশ সবমসময়ই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমার কর্মী ও সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এর আগে একযোগে দেবীদ্বারে এমপিসহ নৌকার প্রার্থী এবং ওসির বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ৫ মেয়রপ্রার্থী। তাঁদের বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি এবং নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছেন তাঁরা।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। অভিযোগকারী মেয়র প্রার্থীরা হলেন এম এ কাইয়ুম ভূঁইয়া (ক্যারম বোর্ড), মো. আবুল কাশেম (নারকেলগাছ), শাহজাহান মোল্লা (ইস্ত্রি), এ বি এম আতিকুর রহমান বাসার (মোবাইল ফোন) ও শরিফুল ইসলাম সুমন (চামচ)। কিন্তু এসব অভিযোগের পরও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

অপরদিকে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ভিংলাবাড়ী এলাকায় ক্যারামবোর্ড প্রতীকের প্রার্থী এমএ কাইয়ুম ভূঁইয়া একই দিনের একই সময়ে আরেক সংবাদ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, থানার ওসি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, দেবীদ্বার থানা-পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা রাতের আঁধারে অভিযানের নামে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদের এমন ভূমিকা অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত হবে।

শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম বলেন,স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/রাহা