ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রংপুরে অসহায় দুস্থদের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রায় তিন হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় রংপুর জেলার ৩টি পৌরসভা ও ৮টি উপজেলার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৭টি দুস্থ পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ করেছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির সহযোগিতায় তালিকাভুক্তির মাধ্যমে আট উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়ন এবং বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও হারাগাছ পৌরসভার তালিকাভুক্ত প্রতি পরিবারে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পূর্বেই দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ শেষ করা হবে।

এ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ৬০২টি ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারে ১৫৬ দশমিক ২০ মেট্রিক টন, মিঠাপুকুরে ৬৮ হাজার ৫৮৪টি পরিবারে ৬৮৫ দশমিক ৮৪০ টন, পীরগঞ্জে ৩৮ হাজার ১৩২টি পরিবারে ৩৮১ দশমিক ৩২০ টন, পীরগাছায় ৪৮ হাজার ৫১১টি পরিবারে ৪৮৫ দশমিক ১১০ টন, কাউনিয়ায় ২৭ হাজার ৬৬৫টি পরিবারে ২৭৬ দশমিক ৬৫০ টন, গঙ্গাচড়ায় ৪২ হাজার ৯৩৮টি পরিবারে ৪২৯ দশমিক ৩৮০ টন, বদরগঞ্জে ২৩ হাজার ৮৪৭টি পরিবারে ২৩৮ দশমিক ৪৭০ টন এবং তারাগঞ্জ উপজেলায় ১৩ হাজার ৬৬৬টি পরিবারে ১৩৬ দশমিক ৬৬০ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়া বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণ কর্মসূচির আওতায় বদরগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১টি পরিবারে ৩৮ দশমিক ১০ টন , পীরগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১টি পরিবারে ৩৮ দশমিক ১০ টন ও হারাগাছ পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০টি পরিবারে ১৫ দশমিক ৪০০ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান, স্ব-স্ব এলাকায় চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের আগেই দরিদ্র ও নিঃস্ব পরিবারগুলোর মধ্যে ভিজিএফয়ের চাল বিতরণ শেষ হবে।

ডিসি ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, আসন্ন ঈদে প্রকৃত কার্ডধারী হতদরিদ্ররা যাতে তাদের বরাদ্দকৃত চাল পান এজন্য মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত চাল কেউ যদি কালোবাজারি করে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।